শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮

এসট্যাবলিশমেন্টের আইন মেনে জনৈক বিপ্লবীর লেখার কপিরাইট

কবি শৈলেশ্বর ঘোষের মেয়ে শ্রীমতি জীজা ঘোষ-এর কপিরাইট সম্পর্কিত চিঠি
২৬.১১.২০১৩
প্রতি : প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদক : চন্দ্রগ্রহণ
৭ বরদাকান্ত রোড
দমদম, কলকাতা ৭০০ ০৩০


মহাশয়,
আমি, শ্রীমতি জীজা ঘোষ, স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ-এর কন্যা, আপনার সম্পাদিত পত্রিকা 'চন্দ্রগ্রহণ'-এর 'হাংরি আন্দোলন সংখ্যা' ( শারদীয় ১৪২০, নবমবর্ষ, সংখ্যা ১৭, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৩ )-য়, আমার বাবার কয়েকটি কবিতা, প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই । ইতিমধ্যে ফোনে আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । তখনও যা জানিয়েছিলাম তা আবারও জানাই -- আপনি আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া বাবার রচনাগুলি আপনার পত্রিকা 'চন্দ্রগ্রহণ'-এ ছেপে ঘোরতর অন্যায় করেছেন ।


আপনাকে আগেও জানিয়েছি, আবারও জানাচ্ছি যে, আমার বাবা স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষের কোনো কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি আর কোনো দিনও কোনো সংকলনে ছাপবেন না বা ছাপাবেন না । আমি আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে জেনেছি যে, কোনো কবি বা লেখকের মৃত্যুর পর ৫০ বছর পর সেটা জাতীয় সম্পত্তি হয় । তখন তাঁর রচনা যে কেউ ছাপতে পারে । 


আমি জানি, এ কাজ আপনি শ্রীমলয় রায়চৌধুরী ও শ্রীসমীর রায়চৌধুরীর দ্বারা নির্দেশিত হয়েই করেছেন । আমার বাবাকে জীবিতথাকাকালীন যাঁরা কুৎসিতভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আক্রমণ করেছেন , তাঁদের সঙ্গে আমার বাবার কোনো সংকলনে কোনো লেখা থাক, এটা আমি বা আমার পরিবারের কেউ চাই না । আমার বাবা স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ-এর এটাই ইচ্ছা ছিল । স্বাভাবিকভাবেই আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আমার স্বর্গীয় বাবার ইচ্ছার সন্মান জানাতে চাই ।


আপনাকে আবারও বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া আমার বাবার কোনো রচনা -- কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি আর ছাপবেন না বা ছাপাবেন না । এর পরও যদি না শোনেন তবে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করতে বাধ্য হব ।


বিনীত নিবেদন
জীজা ঘোষ