শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১

দেবী রায়-এর চিঠি ( মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা )

                                                                                                                               সকালে, বাড়িতে
                                                                                                                              ২২/৬/১৯৬৪
মলয়,
        তুমি-আমি নাকি কলকাতায় অ্যারেস্ট হয়ে গেছি। চতুর্দিকে গুজব। কয়েকজন চেনা, হাফচেনার সঙ্গে দেখা হলে অবাক চোখে তাকাচ্ছে; ভাবখানা এই, 'কখন ছাড়া পেলে'। আমার তো এখন একতারা নিয়ে বাউল হয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে কলকাতায়। সবাই তালে আছে, 'বাঘে ছুঁইয়ে দেওয়ার', পর্নোগ্রাফি প্রমাণ করার। সুবিমলকে মে সে কে একজন বলেছে, 'দেখব কী করে 'হাংরি জেনারেশন' বের হয়। সমীর রায়কে টেলিফোন করে 'আমাদের দাদারা' বাণী দেওয়ার তালে ছিল; কিন্তু বুঝে গেছে সমীর খচ্চর ছেলে, শালাদের কোঁচা খুলে নেবে। সমীরদার কী খবর ? এদিকে পারিজা খচে লাল। আমরা কেন গনদা পরতিকা দিয়েছি ইত্যাদি...
            শৈলেশ্বর বালুরঘাট থেকে ফিরেছে, দেখা করেনি, চিঠিও দেয়নি...ডাকে পাঠিয়েছি 'প্রতিদ্বন্দ্বী'। শৈলেশ্বররা লেখে এক, করে এক, বলে এক, ভাবে আরেক, ছোঃ: 'এষণা'-র ব্যাপারটা জেনে নিও।
           চিঠি দিও। লালমোহন বলছিল, 'ছোটোগল্প' বেরোবে।
                                                                                  দেবী রায়


( মলয় ও দেবী রায় সেপ্টেম্বর ১৯৬৪-এ অ্যারেস্ট হন। শৈলেশ্বর ঘোষ হাংরি আন্দোলন মামলায় মলয়ের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়ে হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করার মুচলেকা লিখে দিয়েছিলেন। লালমোহন ঘোষ ছিলেন ছোটোগল্প পত্রিকার সম্পাদক।)
























        

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়-এর চিঠি ( দেবী রায়কে লেখা )

প্রিয় দেবী                                                          ৩ ডিসেম্বর ১৯৬৩
পরপর দু-সপ্তাহ এলেন না, কোনো চিঠিপত্রও নেই, দোষ একটি মাত্র করেছি। এত দিনের বন্ধুত্বে একটি, আপনাকে লেখা দিই নি। এজন্যে যদি কিছু মনে করে থাকেন, আমার কিছু করার নেই। উৎপল আপনাদের ওখানে গিয়েছিল? প্রিয় উৎপল, অনেক দিন দেখা হয়নি। রয়েড স্ট্রিটে উঠে গেছেন ? আমি সুনীলের একটি চিঠি পেয়েছি। আমি খুব ভাল নেই। একদিন যদি চলে আসেন ভাল হয়---আপনি তো শক্তির মতো ধান্দায় ঘোরেন না। আপনি চলে এলেই পারেন। 'বীট'দের একটি পত্রিকা NOW কে পেয়েছি প্রেরক C. Plymell একজন কবি। ১৫৩৭  N. Topeka, Wichita, Kansas, USA  একটা উত্তর দিয়ে দিন। ভাই শক্তি, 'দেশে' কলাম ছাপানো ব্যাপারে তৈরি plan কী successful   হল, অন্যান্য planগুলো শংকর, বরেন, সুভাষ মুখো থেকে শুরু করে নরেশ গুহ স্টিল সুনীল, বুদ্ধদেব, নীরেনবাবু ইত্যাদি মিলিয়ে ও বিধু, রবীন দত্ত, শামসের সমেত ও অধুনা শংকর কী যেন (ছাড়পত্র সম্পাদক ) প্লাস শরৎ ভাস্কর প্রণব প্রভৃতি নিয়ে যে বিরাট জাল ফেলেছিস সেটা এবার তোল। আমরা আর কতো সময় দাঁড়িয়ে থাকবো ? তারপরেও অপেক্ষা করতে হবে। আমেরিকাগামী প্লেনে দমদমে     করতে পারলে তবে আমাদের ছুটি। প্রিয় সুনীল আপনার চিঠি পেয়েছি। আমার      উঁকি মারছেন কেন ? আমার সমূহ বিপদ----এই প্রথম আমার মনে হচ্ছে আমার দ্বারা বুঝে ওঠা সম্ভব হবে না এখন আমার কী করা উচিত, এখন এই প্রথম আমাকে অপরের উপদেশমত চলতে হবে। প্রিয় দীপেন, তোমার কী হল ? তুমি জেনো আমার সব অপরাধের শাস্তি আমি ভোগ করছি। প্রিয় উৎপল আপনি ছাড়া কারো সম্পর্কে এখন বন্ধুত্বের বোধ নেই। সুনীলের জন্য আছে, কিন্তু তা বোধ হয় সে আমেরিকায় আছে বলে। শ্যামবাজার থেকে টু-বি ধরেছি, দোতলা, মাঝে-মাঝে বাসস্টপগুলির সুযোগ নিয়ে লিখছি। একদিন আসুন।
                                                         আপনার সন্দীপন

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর চিঠি ( সমীর রায়চৌধুরীকে লেখা )

৩২/২ যোগীপাড়া রোড
কলকাতা ২৮
৯/১১/১৯৬৫

সমীর
মলয়ের ৫ তারিখের মামলার বিস্তৃত বিবরণ নিশ্চয়ই ওদের চিঠিতে জানতে পারবি, বা জেনে গেছিস। সে সম্পর্কে আর লিখলাম না।
দুটি ব্যাপার দেখে কিছুটা অবাক ও আহত হয়েছি। তুই এবং মলয় ইত্যাদি ধরেই নিয়েছিলি আমি মলয়ের স্বপক্ষে সাক্ষী দেবো না --- বরং অন্যান্যদের বারণ করবো, কোনোরকম সাহায্য করবো না। তোর অনুরোধ ছিল -- 'শেষ অনুরোধ' --- যেন আমি প্রথম দ্বিতীয় বা চতুর্থ অনুরোধ আগে প্রত্যাখ্যান করেছি। মলয়ও কয়েকদিন আগে সকালে আমার বাড়িতে এসে বললো, ওর ধারণা আমি চারিদিক থেকে ওর সঙ্গে শত্রুতা করছি এবং অপরকে ওর সঙ্গে সহযোগীতা করতে বারণ করছি।
অপরপক্ষে, মামলার রিপোর্ট কাগজে বেরুবার পর --- কফি হাউসের কিছু অচেনা যুবা, স্বতঃপ্রবৃত্ট হয়ে আমাকে অভিনন্দন জানাতে আসে। আমি নাকি খুবই মহৎ ব্যক্তি--- হাংরি জেনারেশনের সঙ্গে কখনো যুক্ত না থেকেও এবং কখনো পছন্দ না করেও যে ওদের স্বপক্ষে সাক্ষী দিয়েছি--- সেটা নাকি আমার পক্ষে পরম উদারতার পরিচয়।
ওদের ওই নকল উদারতার বোঝা, এবং তোদের অন্যায্য অবিশ্বাস --- দুটোই আমার কাছে হাস্যকর মনে হল। মানুষ কি স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে ভুলে গেছে ? আমার ব্যবহার এ-প্রসঙ্গে আগাগোড়া যা স্বাভাবিক তা-ই। আমার স্ট্যান্ড আমি অনেক আগেই পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি। আমি হাংরি জেনারেশন পছন্দ করি না ( সাহিত্য আন্দোলন হিসেবে ), আমি ওদের কিছু-কিছু পাজী ব্যবহারে বিরক্ত হয়েছি। মলয়ের দ্বারা কোনোদিন কবিতা লেখা হবে না --- আমার রুচি অনুযায়ী এই ধারণা । অপরপক্ষে, লেখার জন্য কোনো লেখককেই পিলিশের ধরার এক্তিয়ার নেই --- একথা আমি বহুবার মুখে এবং কৃত্তিবাসে লিখে জানিয়েছি। পুলিশের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো লেখকের স্বপক্ষে ( সে লেখকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক যাই হোক না ) দাঁড়ানো আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক কাজ বলেই মনে করি। কারুর লেখা আমি অপছন্দ করি বলেই তার শত্রুতা করবো, কিংবা অন্য কারুকে নিবৃত্ত করবো তাকে সাহায্য করতে --- এরকম নীচতা কী আমার ব্যবহারে বা লেখায় কখনো প্রকাশ পেয়েছে? এসব ছেলেমানুষী চিন্তা দেখলে -- মাঝে মাঝে রাগের বদলে হাসিও পায়।
যাই হোক, আদালতের সাক্ষ্যতে আমি দুটি কথা বলেছি। মলয়ের লেখার মধ্যে অশ্লীলতা কিছুই নেই--- এবং ও লেখাটা ( প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার ) আমার ভালোই লেগেছে। ধর্মসাক্ষী করে আমি দ্বিতীয় কথাটা মিথ্যে বলেছি। কারণ কয়েকদিন আগে মলয় যখন আসে --- তখন আমি বলেছিলুম যে ওর লেখা আমি পছন্দ করি না। কিন্তু শ্লীল-অশ্লীলের প্রশ্নটি জেনারাল, এবং সেই জেনারাল প্রশ্নে আমি অশ্লীলতা বলে কিছুই মানি না। সুতরাং সেই হিসেবে মলয়ের লেখাও যে কিছুমাত্র অশ্লীল নয় তা আমি সাক্ষীর মঞ্চে উঠে স্পষ্টভাবে বলতে রাজী আছি। তখন মলয় আমাকে অনুরোধ করে, আমি যদি ওকে সাহায্য করতে চাই, তবে জজসাহেবের সামনে ওর কবিতা আমার খারাপ লাগে এটাও যেন না বলি। আদালত তো আর সমালোচনার জায়গা নয়। বরং ওর কবিতা আমার ভালো লাগে বললেই নাকি কেসের পক্ষে সুবিধে হবে।
সাক্ষীর কাঠগড়ায় মলয়ের কবিতা আমাকে পুরো পড়তে দেওয়া হয়। পড়ে আমার গা রি-রি করে। এমন বাজে কবিতা যে আমাকে পড়তে বাধ্য করা হল, সে জন্য আমি ক্ষুব্ধ বোধ করি--- আমার সময় কম, কবিতা কম পড়ি, আমার রুচির সঙ্জগে মেলে না --- এমন কবিতা পড়ে আমি মাথাকে বিরক্ত করতে চাই না। মলয়ের তিনপাতা রচনায় একটা লাইনেও কবিতার চিহ্ণ নেই। মলয় যদি আমার ছোট ভাই হতো, আমি ওকে কবিতা লিখতে বারণ করতাম অথবা গোড়ার অ-আ-ক-খ থেকে শুরু করতে বলতাম। যাই হোক, তবু আমি বেশ স্পষ্ট গলাতেই দুবার বলেছি ওর ঐ কবিতা আমার ভালো লেগেছে। এর কারণ, আমার কোনো মহত্ব নয়--- আমার সাধারণ, স্বাভাবিক, সীমাবদ্ধ জীবন। যে-কারণে আমি আনন্দবাজারে সমালোচনায় কোনো বাজে বইকে ভালো লিখি --- সেই কারণেই মলয়ের লেখাকে ভালো বলেছি। যাই হোক, সেদিন আদালতে গিয়ে মনে হল, হাকিম এবং পুলিশপক্ষ এ-মামলা ডিসমিস করে দিতে পারলে বাঁচে--- কিন্তু মলয়ের প্রগলভ উকিল ও-মামলা বহুদিন ধরে টেনে নাম কিনতে চায়।
ডিসেম্বরের ৮-৯ তারিখে পাটনায় আমেরিকান সাহিত্যের ওপর একটা সিম্পোসিয়াম হবে। আমি তাতে যোগদান করার জন্য নিমন্ত্রিত হয়েছি। ঐ-সময়ে আমি পাটনা যাবো। আশা করি ভালো আছিস।
                                                                                                                          সুনীল

( মুর্শিদ এ এম সম্পাদিত 'হাওয়া ৪৯' পত্রিকার এপ্রিল ২০০১ সংখ্যা থেকে নিয়েছি )
                               

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১১

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর চিঠি ( মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা )

আয়ওয়া
১০ জুন ১৯৬৪
মলয়,
তুমি কলকাতায় কী সব কাণ্ডের বড়াই করে চিঠি লিখেছ জানি না। কী কান্ড করছ ? আমার বন্ধুবান্ধবদের কেউ-কেউ ভাসাভাসা লিখেছে বটে কফিহাউসে কী সব গণ্ডোগোলের কথা।
কিছু লেখার বদলে আন্দোলন ও হাঙ্গামা করার দিকেই তোমার লক্ষ্য বেশি। রাত্রে তোমার ঘুম হয় তো ? এ-সব কিছু না --- আমার ওতে কোনো মাথাব্যথা নেই। যত খুশি আন্দোলন করে যেতে পারো --- বাংলা কবিতার ওতে কিছু আসে যায় না। মনে হয় খুব একটা শর্টকাট খ্যাতি পাবার লোভ তোমার। পেতেও পারো বলা যায় না। আমি এসব আন্দোলন কখনো করিনি, নিজের হৃৎস্পন্দন নিয়ে আমি এতই ব্যস্ত।
তবে, একথা ঠিক, কলকাতা শহরটা আমার। ফিরে গিয়ে আমি ওখানে রাজত্ব করব। তোমরা তার একচুলও বদলাতে পারবে না। আমার বন্ধুবান্ধবরা অনেকেই সম্রাট। তোমাকে ভয় করতুম, যদি তোমার মধ্যে এখন পর্যন্ত একটুও জেল্লা দেখতে পেতুম। আমার চেয়ে কম বয়সিদের মধ্যে একমাত্র তন্ময় দত্ত এসেছিল, আমার চেয়ে অন্তত ছ বছরের ছোটো--- কিন্তু জীবনানন্দের পর অত শক্তিশালী কবি এদেশে আর কেউ আসেনি। প্রচণ্ড অভিমান করে ও চলে গেছে। সেজন্যে এখনও আমি অপরের হয়ে অনুতাপ করি। আমি নিজে তো এখনও কিছুই লিখিনি, লেখার তোড়জোড় করছি মাত্র, কিন্তু তোমার মতো কবিতাকে কমার্শিয়াল করার কথা আমার কখনো মাথায় আসেনি। বালজাকের মতো আমি আমার ভোকাবুলারি আলাদা করে নিয়েছি কবিতা ওগদ্যে। তোমার প্রতি আমার যতই স্নেহ থাক মলয়, কিন্তু তোমার কবিতা সম্বন্ধে এখনো কোনোরকম উৎসাহ আমার মনে জাগেনি। প্রতীক্ষা করে আছি অবশ্য।

অনেকের ধারণা যে পরবর্টি তরুণ জেনারেশনের কবিদের হাতে না রাখলে সাহিত্যে খ্যাতি টেকে না। সে জন্যে আমার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ-কেউ একসময় তোমাদের মুরুব্বি হয়েছিল। আমি ওসব গ্রাহ্য করি না। নিজের পায়ে আমার যথেষ্ট জোর আছে, এমনকী একা দাঁড়াবার। আমার কথা হল : যে যে বন্ধু আছ, কাছে এসো, যে ভালো কবিতা লেখো কাছে এসো --- যে যে বন্ধু নও, বাজে কবিতা লেখো, দূর হয়ে যাও কাছ থেকে। বয়সের ব্যবধান তোলা আমার কাছে অত্যন্ত ভালগার লাগে।
চালিয়ে যাও ও সব আন্দোলন কিংবা জেনারেশনের ভণ্ডামি। আমার ওসব পড়তে কিংবা দেখতে মজাই লাগে। দূর থেকে। সাহিত্যের ওপর মৌরসি পাট্টা বসাতে এক-এক দলের অত লোভ কী করে আসে, কী জানি। তবে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো। আমাকে দেখেছ নিশ্চয় শান্তশিষ্ট, ভালো মানুষ। আমি তাই-ই, যদিও গায়ে পদ্মাপাড়ের রক্ত আছে। সুতরাং তোমাদের উচিত আমাকে দূরে-দূরে রাখা, বেশি খোঁচাখুঁচি না করা। নইলে, হঠাৎ উত্তেজিত হলে কী করব বলা  যায় না। জীবনে ওরকম উত্তেজিত হয়েছি পৌনে একবার। গতবছর। দুএকজন বন্ধুবান্ধব ও-দলে আছে বলে  নিতান্ত স্নেহবশতই তোমাদের হাংরি জেনারেশন গোড়ার দিকে ভেঙে দিইনি। এখনও সেক্ষমতা রাখি, জেনে রেখো। তবে এখনও ইচ্ছে নেই ও খেলাঘর ভাঙার।
আমার এক বন্ধু জানিয়েছে যে তোমরা নাকি আমার কোনো-কোনো চিঠির অংশবিশেষ ছাপিয়েছ। পত্রসাহিত্য-ফাহিত্য করার জন্য আমি চিঠি লিখি না। আমার চিঠি নেহাত কেজো কথা। অবশ্য লুকোবারও কিছু নেই। কিন্তু আগে-পরের কথা বাদ দিয়ে, ডটডট মেরে চালাকির জন্য আমার কোনো চিঠি কেউ ছাপিয়ে থাকে--- তবে আড়াই মাস পরে ফিরে তার কান ধরে দুই থাপ্পড় লাগাব বলে দিয়ো।
আশা করি শারীরিক ভালো আছ। আমার ভালোবাসা নিও।
                                                                            সুনীলদা
( মলয় রায়চৌধুরীকে লেখা চিঠি। ডক্টর উত্তম দাশ রচিত 'হাংরি শ্রুতি ও শাস্ত্রবিরোধী আন্দোলন' গ্রন্হ থেকে নিয়েছি।